শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০১ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: পানিতে পড়ে যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধারে ছয় ডুবুরির চেষ্টা নিয়ে যে সংবাদ গণমাধ্যমে এসেছে, তা অসত্য বলে জানিয়েছেন জামালপুরের মাদারগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম। গণমাধ্যমে এসেছে, ফোনটি তার স্ত্রীর ছিল। তবে ইউএনও জানিয়েছেন এটি তার সরকারি ফোন। আর সেখানে স্ত্রীর কোনো ভূমিকা ছিল না।
বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যম, এমনকি জাতীয় দৈনিকের অনলাইন ভার্সনেও ইউএনওর স্ত্রীর ফোন উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদের চেষ্টার খবর প্রকাশ হয়। এতে দাবি করা হয়, সেলফি তোলার সময় ফোনটি পানিতে পড়ে যায় এবং সেটি ছয় জন ডুবুরি মিলিয়ে কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় উদ্ধার করে।
সাধারণের ফোন হারিয়ে গেলে কোনো সরকারি সংস্থার এমন তৎপরতা বিরল। এই অবস্থায় এই সংবাদটি এক ধরনের ট্রলের স্বীকার হয়েছিল। পাশাপাশি আমলাদের প্রভাব নিয়েও বহুজন নানা মন্তব্য করছিলেন।
পানিতে পড়ে যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধারে ছয় ডুবুরির চেষ্টা নিয়ে যে সংবাদ গণমাধ্যমে এসেছে, তা অসত্য বলে জানিয়েছেন জামালপুরের মাদারগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম। গণমাধ্যমে এসেছে, ফোনটি তার স্ত্রীর ছিল। তবে ইউএনও জানিয়েছেন এটি তার সরকারি ফোন। আর সেখানে স্ত্রীর কোনো ভূমিকা ছিল না।
বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যম, এমনকি জাতীয় দৈনিকের অনলাইন ভার্সনেও ইউএনওর স্ত্রীর ফোন উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদের চেষ্টার খবর প্রকাশ হয়। এতে দাবি করা হয়, সেলফি তোলার সময় ফোনটি পানিতে পড়ে যায় এবং সেটি ছয় জন ডুবুরি মিলিয়ে কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় উদ্ধার করে।
সাধারণের ফোন হারিয়ে গেলে কোনো সরকারি সংস্থার এমন তৎপরতা বিরল। এই অবস্থায় এই সংবাদটি এক ধরনের ট্রলের স্বীকার হয়েছিল। পাশাপাশি আমলাদের প্রভাব নিয়েও বহুজন নানা মন্তব্য করছিলেন।
এই অবস্থায় ইউএনও আমিনুল ইসলাম ফেসবুকে প্রকৃত ঘটনাটি তুলে ধরেন। তিনি লেখেন, ‘প্রিয় বন্ধু/সহকর্মী /সিনিয়র মোবাইল উদ্ধারসংক্রান্ত যে নিউজটি প্রকাশিত হয়েছে তার সম্পর্কে প্রকৃত ঘটনা জানানো উচিৎ বলে মনে করি।’
‘প্রথমত যে ফোনের বিষয়ে বলা হয়েছে সেটি হচ্ছে অফিসিয়াল ফোন। গত বৃ্হস্পতিবার বিকালে মাদারগঞ্জ উপজেলার সিধুলি ইউনিয়নের চর লোটাবর যাওয়ার পথে একটি ব্রিজে দাঁড়ালে মোবাইলটি আমার হাত থেকে ফসকে পানিতে পরে যাবার পর আমি হতভম্ব হয়ে যাই।’
‘আমার অফিসিয়াল সকল গুরুত্বপূর্ণ নাম্বার থাকায় কি করব বুঝতে পারছিলাম না। সঙ্গে সঙ্গে সিধুলি ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালাম আমার পার্সোনাল নম্বর থেকে। তিনিসহ আমার পরিচিত সহকর্মীগণ বললেন ফায়ার সার্ভিসকে জানানো যেতে পারে।’
রাতে তাদেরকে বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসকে জানান ইউএনও আমিনুল। তিনি লেখেন, ‘তারা অফিসিয়াল ফোনের গুরুত্ব অনুধাবন করে পরদিন সকালে এক জন ডুবুরি প্রেরণ করেন এবং সে ১০ /১২ ফিট পানির নিচ থেকে ফোনেটি উদ্ধার করেন। তাৎক্ষণিক ঐ ইউপি চেয়ারম্যান এতো খুশি হোন যে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিকে ৩ হাজার টাকা পুরস্কার প্রদান করেন।’
এই খবরটি কীভাবে ভাইরাল হয়, সেটিও জানান ইউএনও। বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিস বিষয়টি তাদের বিভাগীয় সাফল্য হিসেবে নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। ফলশ্রুতিতে কালের কন্ঠ পত্রিকায় নিউজটি প্রকাশ হয় পজিটিভলি।’
‘এই নিউজটি পরবর্তীতে কিছু অনলাইন পত্রিকায় মুখরোচক হিসেবে আমার স্ত্রীর মোবাইল হিসেবে প্রকাশ করেন। ফলশ্রুতিতে নিউজটি ভাইরাল হয়।’
‘তাদের বিরুদ্ধে আইসিটি এক্টে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’